Skip to content
Menu
ত্রিপিটক বাংলা অনুবাদ – জ্ঞানশান্ত ভিক্ষু
MENUMENU
  • Home
  • বিনয়
    • পারাজিকা
      • পারাজিকা অধ্যায়
        • চতুর্থ পারাজিকা
  • সুত্র
    • অঙ্গুত্তর নিকায়
      • ৮ম নিপাত
        • গৃহপতি বর্গ
          • অক্ষণ সুত্র
    • খুদ্দক নিকায়
      • ২. ধর্মপদ
        • ২. অপ্রমাদ বর্গ
          • ৭. মঘের কাহিনী
        • ৮. সহস্র বর্গ
          • ৯. সংকিচ্চ শ্রামণের কাহিনী
        • ২৩. নাগ বর্গ
          • ৮. মারের কাহিনী
      • ৫. সুত্তনিপাত
        • ২. চূলবর্গ
  • অভিধর্ম
    • ধর্মসঙ্গণি
      • ১. চিত্তের উৎপত্তি অধ্যায়
        • কামাবচর কুশল পদগুলোর বিশ্লেষণ
  • অন্যান্য
    • অনাগতবংশ বাংলা অনুবাদ
  • বিশুদ্ধিমার্গ
  • বৌদ্ধ শব্দকোষ
ত্রিপিটক বাংলা অনুবাদ – জ্ঞানশান্ত ভিক্ষু

দীর্ঘজাণু সুত্র

Posted on January 23, 2020January 25, 2020
( সুত্রপিটক / ৪. অঙ্গুত্তর নিকায় / ৮. অষ্টম নিপাত / ৬. গৌতমী বর্গ / ৪. দীর্ঘজাণু সুত্র )

৫৪. এক সময় ভগবান কোলিয়দের মাঝে কক্করপত্র নামে কোলিয়দের এক গঞ্জে অবস্থান করছিলেন। তখন কোলিয়পুত্র দীর্ঘজাণু ভগবান যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে গিয়ে হাজির হলো। সেখানে গিয়ে ভগবানকে অভিবাদন করে একপাশে বসল। একপাশে বসে কোলিয়পুত্র দীর্ঘজাণু ভগবানকে বলল, ‘ভান্তে, আমরা হলাম কামভোগী গৃহী। আমরা সন্তানদের নিয়ে সংকীর্ণ শয্যায় বসবাস করি। মালা, সুগন্ধি, প্রসাধনী ব্যবহার করি। টাকাপয়সা ব্যবহার করি। ভান্তে ভগবান আমাদেরকে এমন ধর্ম দেশনা করুন, যা আমাদের ইহজীবনেই মঙ্গলদায়ক হয়, ইহজীবনেই সুখদায়ক হয়, ভবিষ্যৎ জীবনেও মঙ্গলদায়ক হয়, ভবিষ্যৎ জীবনেও সুখদায়ক হয়।’

[ গঞ্জকে পালি ভাষায় বলা হয় নিগম। সোজা কথায় এর মানে হচ্ছে গঞ্জগ্রাম। এই কক্করপত্র গঞ্জটি ছিল কোলিয়দের গঞ্জগ্রাম। বাংলাদেশেও বহু স্থানের নামের সাথে গঞ্জ জড়িয়ে আছে। যেমন- নারায়ণগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ইত্যাদি।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এই চারটি বিষয় একজন গৃহীর ইহজীবনে মঙ্গলদায়ক হয়, ইহজীবনে সুখদায়ক হয়। কোন চারটি? পরিশ্রমের গুণ, সংরক্ষণের গুণ, ভালো বন্ধুত্ব এবং সমান জীবনযাপন।

এখানে কোলিয়পুত্র দীর্ঘজাণুকে বুদ্ধ ব্যগ্ঘপজ্জ নামে, অর্থাৎ তাদের গোত্রের নামে সম্বোধন করেছেন। দীর্ঘজাণু ছিল কোলিয় জাতির, কিন্তু তার গোত্রের নাম ছিল ব্যগ্ঘপজ্জ। এখানে ব্যগ্ঘপজ্জ মানে হচ্ছে বাঘের পথে জন্ম হয়েছে যার। সেই গোত্রের পূর্বপুরুষেরা নাকি বাঘের আসা-যাওয়ার পথে জন্মেছিল। তাই সেই গোত্রের লোকজনকে ব্যগ্ঘপজ্জ বলা হতো।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, পরিশ্রমের গুণ কোনটি? হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এখানে কোনো সন্তান যে পেশার মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করে, যেমন সে যদি কৃষিকাজ, বাণিজ্য, পশুপালন, তীরন্দাজ, রাজকর্মচারী, অথবা অন্য কোনো শিল্পে কাজ করে জীবিকা উপার্জন করে, সে তার সেই কাজে দক্ষ হয়, নিরলস পরিশ্রমী হয়, কখন কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে সেব্যাপারে বুদ্ধিমান হয়। হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এটাকেই বলা হয় পরিশ্রমের গুণ।

[ রাজকর্মচারী এর অর্থ হচ্ছে সরকারের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।]

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, সংরক্ষণের গুণ কোনটি? হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এখানে গৃহীসন্তানের ভোগসম্পত্তি হয় পরিশ্রমের দ্বারা অধিগত, কায়িক শ্রম দ্বারা লদ্ধ, ঘাম ঝরিয়ে অর্জিত, ন্যায়সঙ্গত, ন্যায্য উপায়ে প্রাপ্ত। সে এই ভোগসম্পত্তি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে, যাতে তা রাজারা হরণ করতে না পারে, চোরডাকাতের দল যাতে ছিনিয়ে নিতে না পারে, আগুনে যাতে পুড়ে না যায়, পানিতে যাতে ভেসে না যায়, অপ্রিয় উত্তরাধিকারী যাতে সেগুলো হরণ করতে না পারে। হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এই এটাকেই বলা হয় সংরক্ষণের গুণ।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, ভালো বন্ধুত্ব কী? হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এখানে গৃহীসন্তান যে গ্রামে বা গঞ্জে বসবাস করে সেখানে যেসব গৃহকর্তা অথবা গৃহীসন্তান অথবা তরুণ হয় শ্রীবৃদ্ধিশীল বা উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধিশীল, শ্রদ্ধাবান, শীলবান, ত্যাগবান, প্রজ্ঞাবান, সে তাদের সাথে থাকে, আলাপ করে, আলোচনা করে। সে তাদের মতো করে শ্রদ্ধাবান হতে শেখে, তাদের মতো করে শীলবান হতে শেখে, তাদের মতো করে ত্যাগবান হতে শেখে, তাদের মতো করে প্রজ্ঞাবান হতে শেখে। হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এই এটাকেই বলা হয় ভালো বন্ধুত্ব।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, সমান জীবনযাপন কী? হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এখানে গৃহীসন্তান তার ভোগসম্পদের আয়-ব্যয় জেনে সমানভাবে জীবন যাপন করে, যাতে তা বেশি প্রাচূর্যপূর্ণ না হয়, আবার বেশি হীন দরিদ্র জীবনও যাতে না হয়। সে জানে, ‘এভাবে আমার আয় ব্যয়ের চেয়ে বেশি হবে। আমার ব্যয় আয়কে ছাড়িয়ে যাবে না।’

আমার আয় ব্যয়ের চেয়ে বেশি হবে মানে হচ্ছে যার ব্যয় থেকে দ্বিগুণ আয় হয়ে থাকে, তার ব্যয় আয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।
দীর্ঘনিকায়ের সিঙ্গাল সুত্রে বলা হয়েছে –
ভোগসম্পদ চারভাগে ভাগ করে
পণ্ডিতব্যক্তি ঘরে বাস করবেন।
একভাগ ভোগে ব্যয় করবেন
দুই ভাগ কাজে নিয়োজিত করবেন।
চতুর্থ ভাগ জমা করবেন
ভবিষ্যতের আপদবিপদের জন্য।
-(দী.নি.৩.২৬৫)
এক্ষেত্রে দুই ভাগ কাজে নিয়োজিত করবেন মানে হচ্ছে দুই ভাগ দিয়ে কৃষি, বাণিজ্য ইত্যাদি কাজে বিনিয়োগ করবেন।
চতুর্থ ভাগ জমা করবেন মানে হচ্ছে ভূগর্ভের মাঝে লুকিয়ে রাখবেন। [[তবে সেটা প্রাচীন আমলের কথা। বর্তমানে টাকাপয়সা ব্যাংকের মাঝে জমা করলেও হয়।]]
এভাবে জীবন যাপন করলে ব্যয় তখন আয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।

ভবিষ্যতের আপদবিপদের জন্য কথাটির মানে হচ্ছে এরকম। পরিবারের অবস্থা সবসময় একরকম যায় না। কখনো রাজার উৎপীড়ন হয়, আগুনে পুড়ে যায় ঘরবাড়ি, চোরডাকাত এসে হানা দেয়, আবার কখনো দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে আঘাত হানে। ভবিষ্যতের এসকল আপদবিপদের জন্য ভোগসম্পদের একভাগ তুলে রাখা উচিত কোনো নিরাপদ স্থানে।

কিন্তু এই চারভাগের মধ্যে কোন ভাগ দিয়ে কুশল পুণ্যকর্ম করা উচিত? যে ভাগ দিয়ে আপনি জীবন যাপন করেন সেই ভাগ দিয়ে। সেখান থেকে নিয়ে ভিক্ষুদেরকে দেয়া উচিত। দুর্গতদেরকে দেয়া উচিত, পথিকদেরকেও দেয়া উচিত। তাঁতীর বেতন, নাপিতের বেতন ইত্যাদিও সব সেখান থেকে দেয়া উচিত। এসব শ্রমণ, ব্রাহ্মণ বা ব্রহ্মচারীকে দান, দীনদুঃখীদেরকে এবং দূরের পথের যাত্রীদেরকে দান, কোনো স্থানে অধিষ্ঠিত দেবতার উদ্দেশ্যে প্রেতপূজা করা, নাপিত ইত্যাদিদেরকে বেতন দেয়া ইত্যাদি বিষয়গুলোও আসলে সম্পত্তি ভোগ করা হিসেবেই গণ্য হয়।

যেমন হে ব্যগ্ঘপজ্জ, কোনো এক পরিমাপকারী অথবা পরিমাপকারীর শিক্ষানবিশ তার দাঁড়িপাল্লা তুলে ধরে জানতে পারে যে সেটা ‘এতটুকু নিচে নেমেছে, অথবা এতটুকু উপরে উঠেছে।’ ঠিক তেমনিভাবে হে ব্যগ্ঘপজ্জ, গৃহীসন্তান তার ভোগসম্পদের আয়-ব্যয় জেনে সমানভাবে জীবন যাপন করে, যাতে তা বেশি প্রাচূর্যপূর্ণ না হয়, আবার বেশি হীন দরিদ্র জীবনও যাতে না হয়। সে জানে, ‘এভাবে আমার আয় ব্যয়ের চেয়ে বেশি হবে। আমার ব্যয় আয়কে ছাড়িয়ে যাবে না।’

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, যদি এই গৃহীসন্তান অল্প আয় করেও প্রাচূর্যপূর্ণ জীবন যাপন করে, তখন তাকে বলার মতো লোক থাকবে, ‘এই গৃহীসন্তান তো ডুমুর খাওয়ার মতো করে ভোগসম্পদ খায়।’

ডুমুর খাওয়ার মতো মানে হচ্ছে ডুমুর খেতে ইচ্ছুক হলে পাকা ডুমুর ফলে ভরা গাছে একবার নাড়া দিলেই বহু ফল পড়ে যায়। সে যা খাওয়ার খেয়েদেয়ে পড়ে থাকা আরো বহু ডুমুর ফল ফেলে চলে যায়। এভাবেই যে আয় থেকে বহু বেশি পরিমাণে ব্যয় করে ভোগসম্পত্তি পরিভোগ করতে থাকে তাকে বলা হয় ডুমুর খাওয়ার মতো করে ভোগসম্পদ খায় এমন গৃহীসন্তান।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, যদি এই গৃহীসন্তান প্রচুর আয় করেও দীনহীন জীবনযাপন করে, তখন তাকে বলার মতো লোক থাকবে, ‘এই গৃহীসন্তান তো না খেয়ে মরবে!’

যেকারণে হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এই গৃহীসন্তান তার ভোগসম্পদের আয়-ব্যয় জেনে সমানভাবে জীবন যাপন করে, যাতে তা বেশি প্রাচূর্যপূর্ণ না হয়, আবার বেশি হীন দরিদ্র জীবনও যাতে না হয়। সে জানে, ‘এভাবে আমার আয় ব্যয়ের চেয়ে বেশি হবে। আমার ব্যয় আয়কে ছাড়িয়ে যাবে না।’ হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এটাকেই বলা হয় সমান জীবন যাপন।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এভাবে উৎপন্ন ভোগসম্পত্তির চারটি বিনাশমুখ আছে – নারীখোর, মদখোর, জুয়াখোর এবং অসৎ মিত্র, অসৎ সহায়ক, অসৎ বন্ধু। যেমন হে ব্যগ্ঘপজ্জ, কোনো বড়সড় পুকুরের চারটি উৎসমুখ এবং চারটি নিগমন মুখ। কোনো ব্যক্তি যদি সেই পুকুরের উৎসমুখগুলোকে বন্ধ করে দেয় এবং নিগমন মুখগুলোকে খুলে দেয়, বৃষ্টিও যদি না হয় ঠিকমত। তখন হে ব্যগ্ঘপজ্জ, সেই এতবড় পুকুরের ধ্বংসই আশা করা যায়, শ্রীবৃদ্ধি নয়। ঠিক তেমনিভাবে হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এভাবে উৎপন্ন ভোগসম্পত্তির চারটি বিনাশমুখ আছে – নারীখোর, মদখোর, জুয়াখোর এবং অসৎ মিত্র, অসৎ সহায়ক, অসৎ বন্ধু।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এভাবে উৎপন্ন ভোগসম্পত্তির চারটি উৎসমুখ আছে – নারীখোর না হওয়া, মদখোর না হওয়া, জুয়াখোর না হওয়া এবং সৎমিত্র, সৎ সহায়ক, সৎ বন্ধু। যেমন হে ব্যগ্ঘপজ্জ, কোনো বড়সড় পুকুরের চারটি উৎসমুখ এবং চারটি নিগমন মুখ। কোনো ব্যক্তি যদি সেই পুকুরের উৎসমুখগুলোকে খুলে দেয় এবং নিগমন মুখগুলোকে বন্ধ করে দেয়, বৃষ্টিও যদি হয় ঠিকমত। তখন হে ব্যগ্ঘপজ্জ, সেই এতবড় পুকুরের শ্রীবৃদ্ধিই আশা করা যায়, বিনাশ নয়। ঠিক তেমনিভাবে হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এভাবে উৎপন্ন ভোগসম্পত্তির চারটি উৎসমুখ আছে – নারীখোর না হওয়া, মদখোর না হওয়া, জুয়াখোর না হওয়া এবং সৎমিত্র, সৎ সহায়ক, সৎ বন্ধু।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এই হচ্ছে চারটি বিষয় যেগুলো কোনো গৃহীসন্তানের ইহজীবনে মঙ্গলদায়ক হয়, ইহজীবনেই সুখদায়ক হয়।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এই চারটি বিষয় কোনো গৃহী সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনে মঙ্গলদায়ক হয়, ভবিষ্যৎ জীবনে সুখদায়ক হয়। কোন চারটি? – শ্রদ্ধাসম্পদ, শীলসম্পদ, ত্যাগসম্পদ, প্রজ্ঞাসম্পদ।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, শ্রদ্ধাসম্পদ কী? এখানে হে ব্যগ্ঘপজ্জ, কোনো গৃহীসন্তান হয় শ্রদ্ধাবান। সে তথাগতের বোধিজ্ঞানকে বিশ্বাস করে, ‘ইনিই সেই ভগবান যিনি অর্হৎ, সম্যক সম্বুদ্ধ, বিদ্যা ও আচরণ সম্পন্ন, সুপথে গত, জগতজ্ঞানী, দম্য ব্যক্তিদেরকে দমনকারী শ্রেষ্ঠ সারথি, দেবমানবের শিক্ষক, বুদ্ধ, ভগবান।’ হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এটাকেই বলা হয় শ্রদ্ধাসম্পদ।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, শীলসম্পদ কী? এখানে হে ব্যগ্ঘপজ্জ, কোনো গৃহীসন্তান প্রাণিহত্যা থেকে বিরত হয়। দেয়া হয় নি এমন জিনিস গ্রহণ থেকে বিরত হয়। অবৈধ যৌনসম্পর্ক থেকে বিরত হয়। মিথ্যা বলা থেকে বিরত হয়। মদ ও মাদক জাতীয় জিনিস সেবন থেকে বিরত হয়। হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এটাকেই বলা হয় শীলসম্পদ।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, ত্যাগসম্পদ কী? এখানে হে ব্যগ্ঘপজ্জ, কোনো গৃহীসন্তান লোভহীন নির্মল মন নিয়ে গৃহে বসবাস করে। সে হয় উদার, মুক্তহস্ত, দানশীল, দানে উদ্যত, সমানভাবে দানে রত। হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এটাকেই বলা হয় ত্যাগসম্পদ।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, প্রজ্ঞাসম্পদ কী? এখানে হে ব্যগ্ঘপজ্জ, কোনো গৃহীসন্তান হয় প্রজ্ঞাবান। সে হয় উৎপত্তি ও বিলয়গামী তীক্ষ্নভেদী আর্য প্রজ্ঞা সমন্বিত, যা সম্যকভাবে দুঃখের ক্ষয়ের দিকে নিয়ে যায়। হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এটাকেই বলা হয় প্রজ্ঞাসম্পদ।

হে ব্যগ্ঘপজ্জ, এই হচ্ছে চারটি বিষয় যেগুলো কোনো গৃহীসন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনে মঙ্গলদায়ক হয়, ভবিষ্যৎ জীবনে সুখদায়ক হয়।

যে কাজের ভার দেয়া হয়েছে সেগুলোতে হয় 
উদ্যমী, অপ্রমত্ত হয়ে পরিচালনাকারী।
সমানভাবে জীবন যাপন করে,
সঞ্চিত সম্পদকে রক্ষা করে।

শ্রদ্ধাবান, শীলসম্পন্ন, উদারমনা ও নির্লোভ।
নিত্য ভবিষ্যৎ মঙ্গলের পথ পরিষ্কার করে চলে।

এই আটটি বিষয় হচ্ছে
শ্রদ্ধাবান হয়ে ঘরে বসবাসকারীর জন্য
সত্য হিসেবে ব্যাখ্যাত,
যা উভয় জীবনের জন্য সুখদায়ক।
সেটা ইহজীবনের মঙ্গলের জন্য,
এবং ভবিষ্যতের সুখের জন্যও।
এভাবে ঘরে বসবাস করলে
ত্যাগ ও পুণ্য বৃদ্ধি পায়।
—দীর্ঘজাণু সুত্র সমাপ্ত —

2 thoughts on “দীর্ঘজাণু সুত্র”

  1. Arun Bikash Chakma says:
    February 14, 2020 at 8:45 am

    সাধু সাধু সাধু ভান্তে।

    Reply
  2. Promel chakmma says:
    April 16, 2020 at 6:39 pm

    Shadu shadu shadu

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সাইটে সার্চ করুন

ত্রিপিটক ও অন্যান্য

        • চতুর্থ পারাজিকা
    • পাচিত্তিয়
          • ১. ইন্দক সুত্র
            • ১০. বিপুলপর্বত সুত্র
            • ১. প্রথম কোটিগ্রাম সুত্র
            • ৪. কূটাগার সুত্র
          • অক্ষণ সুত্র
          • ৪. দীর্ঘজাণু সুত্র
          • ৭. মঘের কাহিনী
          • ৯. সংকিচ্চ শ্রামণের কাহিনী
          • ৮. মারের কাহিনী
          • ২. আমগন্ধ সুত্র
        • কামাবচর কুশল পদগুলোর বিশ্লেষণ
    • অনাগতবংশ বাংলা অনুবাদ

নতুন শব্দগুলো

  • সিরীস August 23, 2020
  • মল্লিকা August 22, 2020
  • সিন্দুৰার August 22, 2020
  • কুমুদ August 22, 2020
  • কুন্দ August 22, 2020

নতুন পোস্টগুলো

  • Declension of Pāli Nouns, Pronouns and Adjectives February 22, 2020
  • Conjugation of Pāli Verbs February 22, 2020
  • পালি গ্রন্থাবলীর ইতিহাস – ২. গ্রন্থকার পরিচিতি February 2, 2020
  • পালি গ্রন্থাবলীর ইতিহাস – ১. ত্রিপিটক পরিচিতি February 1, 2020
  • বিপুলপর্বত সুত্র January 25, 2020

সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো

  • অর্পন বড়ুয়া on ২. আমগন্ধ সুত্র
  • অর্পন বড়ুয়া on ৭. মঘের কাহিনী
  • ছদক চাকমা on বিপুলপর্বত সুত্র
  • Bodhiratna Bhikkhu on চতুর্থ পারাজিকা
  • Bodhiratna Bhikkhu on কামাবচর কুশল পদগুলোর বিশ্লেষণ

পোস্টের তালিকা

  • ►2020 (8)
    • ►February (4)
    • ►January (4)
  • ►2019 (9)
    • ►December (1)
    • ►November (1)
    • ►October (7)

ট্যাগ

আয়ুকল্প (1) ইন্দ্রকূট (1) কক্করপত্র (1) কোলিয় (1) গৃহীজীবন (1) গড় আয়ু (1) দীর্ঘজাণু (1) বুদ্ধান্তর কল্প (1) ব্যগ্ঘপজ্জ (1) ভ্রুণের ক্রমবিকাশ (1) মাতৃগর্ভ (1) যক্ষ (1) রাজগৃহ (2)
©2021 ত্রিপিটক বাংলা অনুবাদ – জ্ঞানশান্ত ভিক্ষু | Powered by WordPress and Superb Themes!