= দেবরাজ ইন্দ্রের অতীতে মনুষ্যকুলে মঘ জন্মের স্ত্রী। পালি নাম: চিত্তা।
রেফারেন্স – ১: মঘের কাহিনী
দেবরাজ ইন্দ্রের অতীতে মনুষ্যকুলে মঘ জন্মে চারজন স্ত্রী ছিল। তারা ছিল নন্দা, চিত্রা, সুধর্মা ও সুজা।
মঘ ও তার বন্ধুরা মিলে একটা বিশ্রামশালা বানিয়েছিল জনগণের ব্যবহারের জন্য। চিত্রা চিন্তা করল, সুধর্মা এই বিশ্রামশালার জন্য কড়িকাঠ দিয়েছে। নন্দা পুকুর বানিয়ে দিয়েছে। আমারও কিছু একটা করা দরকার। কী করি! তখন তার মনে হলো, বিশ্রামশালায় আসা লোকজন পানি খেয়ে, গোসল করে যাওয়ার সময়ে ফুলের মালা দিয়ে সেজেগুজে গেলে ভালো হয়। তার জন্য ফুলের বাগান বানিয়ে দেব। সে মনোরম সুন্দর একটা ফুলের উদ্যান বানিয়ে দিল। সেখানে এত ধরনের ফুলফলের গাছ ছিল যে “এই ফুল বা ফলের গাছটা তো নেই” বলাটা মুশকিল হত।
মরণের পরে চিত্রা তাবতিংস স্বর্গে জন্মাল। তার জন্য পাঁচশ যোজন বিস্তৃত চিত্রলতাবন উৎপন্ন হলো। দেবপুত্রদের মরণের সময় ঘনিয়ে আসলে কয়েকটা লক্ষণ দেখা দেয়। তখন তাদেরকে এই চিত্রলতাবনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা সেখানে প্রবেশ করলে মরণের শোক ভুলে গিয়ে বনের শোভায় মোহিত হয়ে উপভোগ করতে থাকে।